রাজধানীর জুরাইনে একটি পেট্রল পাম্পে রিয়াদ হোসেন (২০) নামে এক কর্মচারীর গায়ে অকটেন ঢেলে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সহকর্মীদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার ভোরে জুরাইনের এস আহমেদ পেট্রল পাম্পের দগ্ধ কর্মচারীকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় পেট্রল পাম্পের তিন অপারেটরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দগ্ধ রিয়াদের বাবা গাড়িচালক ফরিদ মিয়া জানান, রিয়াদ সিদ্ধেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সের শিক্ষার্থী ছিল। পাশাপাশি মাসিক পাঁচ হাজার টাকা বেতনে পার্টটাইম হিসেবে চলতি মাসে ওই পাম্পে কাজে যোগ দেয়। সকালের দিকে পাম্পের লোকজন ফোন দিয়ে জানায় রিয়াদ দগ্ধ হয়েছে, তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। পরে আমরা হাসপাতালে এসে রিয়াদকে দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পাই। বর্তমানে সে আইসিইউতে রয়েছে।
শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল ইসলাম জানান, এস আহমেদ নামে পেট্রল পাম্পে চার জন অপারেটর রাতে ডিউটিতে ছিল। এদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান ইমন নামে এক অপারেটর ঘুমিয়ে পড়ে। পরে রিয়াদ তাকে ডাকতে যায়। সে না উঠলে বোতলের মুখায় করে সামান্য একটু অকটেন ইমনের গায়ে ছিটিয়ে দেয় রিয়াদ। পরে ইমন ঘুম থেকে উঠে একটি বোতলে করে অকটেন ভরে ইমনের গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে রিয়াদের শরীরে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। পরে পাম্পের কর্মচারীরা তাকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় রিয়াদের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় ইমনসহ অপর দুই অপারেটর ফাহাদ আহমেদ পাভেল ও শহিদুল ইসলাম রনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।